নাট্যনির্মাতা অনন্য ইমনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। তার নির্মিত ‘শেষ গল্পটা তুমিই’ নাটকে একটি দৃশ্যে খাঁচাবন্দি টিয়া পাখি দেখানোর ঘটনায় বণ্যপ্রাণি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ নির্মাতার বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে উচ্চ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
চলতি বছর ভালোবাসা দিবসে বাংলাভিশনে প্রচারিত হয় নাটকটি। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন হালের দুই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তৌসিফ মাহবুব ও তাসনিয়া ফারিণ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বন্য প্রাণীকে খাঁচাবন্দি করা, বেচাকেনা করা, প্রদর্শন করা বা এ জাতীয় অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করা, প্ররোচনা প্রদান ইত্যাদি ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২’ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
‘সিডি চয়েস ড্রামা’ নামে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত নাটকটিতে খাঁচাবন্দি বন্যপ্রাণি প্রদর্শন প্রচলিত আইনে অপরাধ এবং অন্যদেরও সেই অপরাধ করতে উৎসাহিত করছে।
নাটকে ১৫ মিনিট আট সেকেন্ড থেকে শুরু হওয়া ৫৩ সেকেন্ডের মধ্যে দৃশ্যটি রয়েছে। আর সে কারণে অনন্য ইমনের বিরুদ্ধে ‘বন্য প্রাণী আইন ২০১২’র ৩৮(২), ৪১ এবং ৪৬ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। ওই ৪৫ সেকেন্ডের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।
মামলার সাক্ষীরা হলেন- অসীম মল্লিক (বন্য প্রাণী পরিদর্শক), মো. আব্দুল্লাহ-আস-সাদিক (বন্য প্রাণী পরিদর্শক), মো. হাফিজুর রহমান (ফরেস্টার) ও মো. আব্দুল মালেক (জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট)।
মামলার অন্যতম সাক্ষী ফরেস্টার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা চোখ-কান খোলা রাখি সর্বক্ষণ। অনন্য ইমন সাহেব বন্যপ্রাণিকে খাঁচাবন্দি দেখিয়ে অপরাধ তো করেছেনই, অন্যদেরও উৎসাহিত করেছেন।’
আগামী ১ আগস্ট নির্মাতা অনন্য ইমনকে হাজির থাকতে বলেছেন আদালত। অনিচ্ছাকৃত এই কর্মকাণ্ড আদালতের কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন এই নির্মাতা।
সুকন্যা দত্তের রচনায় ও অনন্য ইমন চিত্রনাট্য ও নির্মিত নাটকটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪ লাখেরও কম টাকা। এতে আরও অভিনয় করেছেন মিলি মুন্সি, পাপিয়া, আরেফিন, জারা ইসলাম প্রমুখ।