অবৈধভাবে ঋণ দিয়ে সোনালী ব্যাংকের ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আসামিদের অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশনের শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী সোমবার (৮ আগস্ট) হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক নূর হোসেন খানকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মিরন মিয়া শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ব্যাংকটির প্রাক্তন ডিজিএম আলতাফ হোসেন হাওলাদার, মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান মোরশেদ রাজ্জাক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকি আহমেদকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আলতাফ হোসেন হাওলাদার সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখার প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন। সে সময় তিনি বিধিবর্হিভূতভাবে মেলবা টেক্সটাইলস মিলসের অনুকূলে ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৯ কোটি ঋণের দায় সৃষ্টি করে আত্মসাত করেন। ওই হিসেবে সুদে-আসলে ২১ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৩ টাকা পাওনা রয়েছে।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ মে আসামিদের দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ৩০ জুন চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহত দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জহুরুল হক।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন করেন মামলার বাদী। শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৫ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এ রুলের শুনানিতে বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে।