চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ার পরও সাত বছর ধরে কনডেম সেলে থাকার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে আনা হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে লিখিত আকারে আবেদন করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পরামর্শ দেন।
এদিন বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এরপর আদালত বলেন, আপনি লিখিত আবেদন করুন। আজকে করেন।
তখন শিশির মনির বলেন, জ্বি মাইলর্ড, একটু পর আবেদন করে নিয়ে আসছি।
এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে গতকাল বুধবার (৩ আগস্ট) ‘বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর!’ শিরোনামে অনলাইন গণমাধ্যম বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন আবুল কাশেম। তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথাসময়েই উচ্চ আদালত থেকে পৌঁছেছে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। কিন্তু আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেনি ৭ বছর ৩ মাস ১১ দিনও।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, একটি মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত হাজিরা দিতে আসলে আবুল কাশেমকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠান। সেই দিন থেকে কারাগারের কনডেম সেলে আছেন আবুল কাশেম। তিনি লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।
আদালত সূত্র জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ মার্চ রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ায় জানে আলেম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন আবুল কাশেম। লোহাগাড়া থানার মামলা নম্বর ২১ (৩১.০৩.২০০২) ও দায়রা নম্বর ৩০৮/২০০৪।
এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আবুল কাশেমসহ ১২ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
রায় ঘোষণাকালে আবুল কাশেম পলাতক ছিলেন।
এরপর নিয়মানুযায়ী ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য মামলার নথি আসে হাইকোর্টে। যার ডেথ রেফারেন্স মামলা নম্বর ৫৪/২০০৭। গত ২০১৩ সালের ১১ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও শহীদুল করিমের বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স শুনানিতে আসামি আবুল কাশেমকে খালাস দেন।