ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহন ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলে উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে রেল মন্ত্রণালয়। এছাড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকিটবিহীন যাত্রী যেন স্টেশনে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে ৫০টি স্টেশনে বিশেষ ফেন্সিং করা হচ্ছে।
আজ রোববার (৭ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি জানান, রেলের নেওয়া উদ্যোগে আদালত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। আগামী ১০ আগস্ট আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
গত ২১ জুলাই ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এরপর থেকে ট্রেনের ছাদে কোনো যাত্রী পরিবহন করলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় আদালত আরো বলেন, ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধে নেওয়া পদক্ষেপ আদালতকে জানাতে বলা হয়।
এর আগে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা-যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির অবস্থান ও অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করার জন্য প্রক্রিয়া হিসেবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) ও মহাব্যবস্থাপককে (পশ্চিম) স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে বলে উপ-পরিচালক (টিসি) মো. আনসার আলী সই করা একটি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে মহিউদ্দিন রনির বিষয়ে প্রশ্ন তোলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এমন তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কমিটি গঠনের চিঠিতে বলা হয়, ‘মহিউদ্দিন রনি’ শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রাপ্ত স্মারকলিপি এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো। স্মারকলিপিতে বর্ণিত দাবিসমূহ বাস্তবায়নে কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গঠিত কমিটির সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অত্র দপ্তরে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।