চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের পর আদালত আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দায় বুধবার (১৭ আগস্ট) এই বিয়ে হয়। বিয়ে নিবন্ধন হওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভুঞা আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম জেলা সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, একই পোশাক কারখানায় দুজন চাকরি করতেন। সেখান থেকে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তাঁর প্রেমিক। ওই নারী প্রস্তাবে রাজি হন। এই ব্যক্তি একটি কাগজ দেখিয়ে বলেন, এটি তাঁদের বিয়ের কাগজ। এর পর থেকে তাঁরা স্বামী–স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। তাঁদের একটি সন্তানও আছে।
পিপি ইফতেখার সাইমুল আরও বলেন, নগরের দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় কিছুদিন ধরে বসবাস করছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি এই ব্যক্তি ওই নারী ও তাঁর সন্তানকে অস্বীকার করে করেন। এ ঘটনায় গত ১৭ জুলাই ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। পরে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তাঁদের বিয়ের কোনো কাবিননামা ছিল না।
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, এরই মধ্যে আসামির পরিবার ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি মিটমাট করার কথা বলে। পরে বাদী ও আসামি দুজনে আদালতের কাছে বিয়ে করতে চান বলে জানান। আদালত মৌখিকভাবে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে বলেন।
গত ৮ আগস্ট আসামির হাজিরার তারিখ ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ছেলেপক্ষের লোকজন আসতে না পারায় সেদিন বিয়ে হতে পারেনি। বুধবার শুনানি শুরুর আগে আদালতের বারান্দায় সাড়ে চার লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়েতে দুই পক্ষের কয়েকজন করে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান এই আইনজীবী।
ইফতেখার সাইমুল জানান, বিয়ের পর আদালত আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর তাঁকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়। জামিনের কাগজপত্র পৌঁছালে কারাগার থেকে ছাড়া পাবেন তিনি।
বিয়ের পর ওই নারী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে (স্বামী) আগেও ভালোবাসতাম, এখনো বাসি। ঠিকমতো যাতে সংসার করে। সরল বিশ্বাসে কাগজপত্র দেখিনি আগে। সেই সুযোগ নিয়ে বিয়েটি অস্বীকার করে স্বামী।’