সুনামগঞ্জ আদালত চত্বরে ছুরিকাঘাতে বিচারপ্রার্থী নিহত
সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা আদালত

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ আমগাছে ঝুলিয়ে রাখা ব্যক্তির যাবজ্জীবন

সুনামগঞ্জে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে হত্যার করে লাশ বাড়ির পাশের একটি আমগাছে ঝুলিয়ে রেখে শেফালি বেগম আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন স্বামী। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, আবদুল্লাহ নামের ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার (২১ আগস্ট) সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এই রায় দেন।

সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি খায়রুল কবীর রুমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের আবদুল্লাহর সঙ্গে ২০০৩ সালে বিয়ে হয় একই গ্রামের শেফালি বেগমের। সংসারে অভাবের কারণে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আবদুল্লাহ এক পর্যায়ে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য এক লাখ টাকা দিতে শেফালির পরিবারকে চাপ দিতে থাকে।

এমনকি টাকার জন্য শেফালিকে শারীরিক নির্যাতনও করেন আবদুল্লাহ। এরপর তাকে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশের একটি আমগাছে ঝুলিয়ে রেখে শেফালি বেগম আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন।

লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত ও আলামত জব্দ করে। এ সময় লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হলে শেফালি বেগমের মা মালেকা বেগম বাদী হয়ে আবদুল্লাহ, তার বাবা খাসিদ আলী এবং মা সৈয়দুন্নেসাকে আসামি করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

পরে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে খাসিদ আলী ও সৈয়দুন্নেসাকে খালাস দেওয়া হয়।