গাইবান্ধায় আদালতে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন এক আসামি। আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করলেও সেটি জানার আগেই মারা যান তিনি। তাহের মামুন (৫৫) নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি সাঘাটা উপজেলার পবনতাইড় গ্রামে।
গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভাই আবদুর রহিমের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধে ২০১৪ সালের ৫ জুলাই সাঘাটায় থানায় মারপিটের ঘটনায় তাহেরের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এই মামলায় তাহের তাঁর দুই ছেলে ও ছেলের বউসহ চার জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা জামিনে থাকলেও গড় হাজিরার কারণে গত ২২ জুলাই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সেই পরোয়ানায় গত সোমবার (২২ আগষ্ট) রাত ২টার দিকে চার আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে গ্রেফতার তাহেরসহ চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহের। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহের মামুদের আইনজীবী মো. মাজেদুল ইসলাম প্রধান তুহিন। তিনি বলেন, আসামিদের আদালতের হাজতখানায় আনার পরপরই জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে তাদের জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে চার জনের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক কাফি আজাদ। জামিনের ১০-১৫ মিনিট পরেই তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, তাঁকে নিয়ে আসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তাহেরের ছেলে ফারুক ও সাদ্দাম মিয়া জানান, গত ৬ মাস ধরে বাবা অসুস্থ ছিলেন। রাতে গ্রেফতারের সময় পুলিশের কাছে আকুতি জানিয়েও লাভ হয়নি। দুপুরে আদালতে নিয়ে আসার পরই তার মৃত্যু হয়।