তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনে নিষ্পত্তি করে আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব ও এনটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট চার জনকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। এনটিআরসিএ’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূইয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক।
রায়ের পর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, এনটিআরসিএ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি-২০২২ প্রকাশ করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গণবিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগে এমপিও নন-এমপিও পদের জন্য মোট ১৫ হাজার ১৬৩টি ফাকা আসনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত ১২ হাজার ৮০৭টি এবং নন-এমপিওভুক্ত ২ হাজার ৩৫৬টি আসনের জন্য অনলাইন আবেদন গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য আবেদনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
পরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইসিটি পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে এনটিআরসিএ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীদের আবেদন করার সুযোগ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে এমপিওভুক্ত ১০১ জন শিক্ষক রিট দায়ের করেন।
বিভিন্ন জেলার ওসমান গণি, সুদেব চন্দ্র পাল, গিতা, মোছা. রিক্তা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, মো. আব্দুল্লা হিল বাকি, মো. শাহিনুর রহমান, সমিরন মজুমদার, মন্টুলাল সরকার, সুরেন মন্ডলসহ ১০১ জন এ রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত গত ২০ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেছিলেন। আজ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দিলেন হাইকোর্ট।