শীর্ষ ঋণ খেলাপির কাছ থেকে টাকা আদায়ে অবহেলা করায় বেসরকারি খাতের প্রাইম ব্যাংককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুজাহিদুর রহমান গত রোববার (২৮ আগস্ট) এ আদেশ দেন।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর প্রাইম ব্যাংকের হেড অব রিকভারি এন্ড লিগ্যাল ডিভিশন এবং জুবিলী শাখার ব্যবস্থাপককে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য মামলা করে প্রাইম ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখা। ঋণ পরিশোধ না করায় প্রক্রিয়াটি জারি মামলা পর্যন্ত গড়ায়। তারপরও টাকা ফেরত দেয়নি গ্রাহক। এরপর বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে উঠানো হয়। কিন্তু গ্রাহকের অভাবে সেই সম্পত্তি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।
এরপর চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত থেকে জারি করা হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। পাশাপাশি ব্যাংকের আবেদনের ভিত্তিতে সব ধরনের সহযোগীতা করেন আদালত। গত ২৮ আগষ্ট জেলা প্রশাসন থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে ৮২ জন পুলিশ সদস্য মোতায়নের আদেশে দেওয়া হয়।
ওই দিন দখল প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ আদালতের আদেশ মোতাবেক প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ব্যাংকের পক্ষ থেকে দখল বুঝে নেওয়ার জন্য কোন প্রতিনিধি উপস্থিত হননি।
মোহাম্মদ আলী নামের ওই গ্রাহকের কাছে প্রাইম ব্যাংকের পাওনা ১০০ কোটি টাকার বেশি। এই টাকা আদায়ে অবহেলা ও বন্ধকি সম্পত্তি দখলের দিন মামলার বাদী ব্যাংকের প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকাকে চরম দায়িত্বহীন আচরণ বলে অভিহিত করেছেন আদালত।
বিচারক তাঁর আদেশে বলেন, ট্রাস্টি অব পাবলিক মানি হিসেবে নাগরিকদের আমানতের টাকা আদায়ে ডিক্রিদার ব্যাংক যে চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য। আদালতের আদেশে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গৃহীত কর্মসূচীতে বিনা নোটিশে অনুস্পস্থিত অসদাচরণ এবং আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের শামিল।