সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে আদালতে দাখিল করা তথ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রধানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামীকাল বুধবার বিএফআইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে হাজির হতে হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার এ বিষয়ে হাইকোর্টে বিএফআইউ এবং দুদকের পৃথক প্রতিবেদন এফিডেভিড আকারে জমা দেওয়া হয়।
গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্টের এই বেঞ্চে প্রতিবেদনের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছিল। আদালত বলেছিলেন, প্রতিবেদনটি এফিডেভিড করে জমা দিতে। সেই অনুযায়ী তা আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গলবার (আজ) আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য বিভিন্ন সময়ে দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউয়ের কাছে চাওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ গত ১৭ জুন এফআইউয়ের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ।
২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত সুইস ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের ৬৭ জনের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেখানে এ পর্যন্ত মাত্র ১ জনের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো তথ্য চায়নি বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
এ প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে এ বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এর সঙ্গে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।