মিনিকেট নামে কোনো চাল বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। যদি কেউ এর ব্যতিক্রম করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে গিয়ে বুধবার (৫ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মিলে চাল বস্তায় ভরার পর তার ওপরে চালের জাতের নাম লিখে দিতে হবে। মিনিকেট নামে কোনো চাল বিক্রি করা যাবে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৫-২০ দিন আগে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাত প্রুফ হওয়ার পর সার্টিফায়েড হবে এবং জাতগুলো সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে তা কীভাবে ফিল্ড পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছিলেন মিনিকেট চাল বলে দেশে কিছু নেই। এছাড়া মিলে চাল ইচ্ছামতো ছাঁটাই করা যাবে না বলেও জানান তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকার এই মিনিকেট নাম উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাতে পারে।
এদিকে গত মাসে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান একই কথা বলেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন বাজারে মিনিকেট নামে কোনো চাল থাকবে না। মিনিকেট চাল প্রতারণা বন্ধে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযানে নামবে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।