জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করতে যাওয়া তিন ব্যক্তির কাছে কোর্টের এফিডেভিট চাওয়ায় কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেনকে তলব করেছে আদালত।
কুড়িগ্রামের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মজনু মিয়া সোমবার (১০ অক্টোবর) এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর মো. কদম আলী, মো. আব্দুল হামিদ এবং মো. আব্দুল লতিফ নামীয় তিন ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী পাসপোর্ট সংশোধন করতে গেলে কোর্ট এফিডেভিট দিতে হবে জানিয়ে মো. কবির হোসেন তাদের ফেরত পাঠান।
যদিও পাসপোর্ট তৈরির কোন কোন ক্ষেত্রে হলফনামা প্রয়োজন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই সেই বিষয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। উপর্যুক্ত বিষয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নির্দেশনায় এফিডেভিট দিতে হবে না বলা থাকলেও কবির হোসেন তাদের কাছে এফিডেভিট চান।
পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা এফিডেভিট করার জন্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যান। প্রয়োজন ছাড়া এফিডেভিট চেয়ে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানী করায় আদালত কবির হোসেনকে তলব করেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি থাকা সত্ত্বেও কবির হোসেনের এমন কার্যকলাপের মাধ্যমে সেবাপ্রার্থী জনগণ হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এছাড়া তাঁর চাওয়া এমন অহেতুক এফিডেভিট সম্পাদন করতে আদালতের অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় দিতে হচ্ছে। ফলে বিচারিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে।
এপ্রেক্ষিতে কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা আগামী ১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।