স্বাধীনতার ৫১ বছরে এসে অবশেষে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল সংবিধান প্রণয়ন দিবস জাতীয়ভাবে পালন করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ৪ নভেম্বর সংবিধান প্রণয়নের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ দিন সংবিধান দিবসটি প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে পালন করা হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতির লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস ঘোষণা’ শীর্ষক সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভসহ সংশ্নিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। সভায় জাতীয় সংবিধান দিবস ঘোষণার পাশাপাশি আগামী ৪ নভেম্বর দিবসটি উদযাপনের জন্য কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সংবিধান দিবস জাতীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। সেখানে পাস হলে তবেই এটি কার্যকর হবে। আশা করছি, ৪ নভেম্বর জাতীয়ভাবে সংবিধান দিবস পালন করা হবে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্র্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশ জারি করেন। পরবর্তী সময়ে ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। আদেশ অনুযায়ী ১৯৭০ এবং ৭১ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যরা গণপরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হন। এই গণপরিষদের সদস্য ছিলেন ৪৩০ জন। এ ছাড়া তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে প্রধান করে গঠিত হয় সংবিধান প্রণয়ন কমিটি। এই কমিটির সদস্য ছিলেন ৩৪ জন। এই কমিটি ভারত ও যুক্তরাজ্যের সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করে। সংবিধানের খসড়া সর্বপ্রথম গণপরিষদে উত্থাপিত হয় ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর। এর পর ৪ নভেম্বর তা গৃহীত হয় গণপরিষদে। ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের পর ৫০ বছরে ১৭ বার সংবিধান সংশোধন হয়েছে।