বিবাহবিচ্ছেদের পর ব্যভিচারী এবং নিষ্ঠুর স্ত্রীর স্থায়ী ভরণপোষণের দায় নেবেন না স্বামী, একটি মামলায় এমনটাই রায় দিয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের একটি উচ্চ আদালত।
এই সংক্রান্ত অভিযোগে এক মহিলার ভরণপোষণের আবেদন নাকচ করে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি ঋতু বাহ্রি এবং বিচারপতি নিধি গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি এই রায় দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মামলাকারী ব্যক্তির বিবাহ হয় ১৯৮৯ সালে। কিন্তু তিনি বিয়ের কয়েক বছর পর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। স্ত্রীর ব্যবহার উগ্র, এই অভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছিলেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যদের অপমান করেছেন স্ত্রী। স্বামীর বন্ধুবান্ধবের সামনেই তাঁর রোজগার নিয়ে খোঁটা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই দম্পতির কোনও সন্তান নেই। সেই সূত্রে সকলের সামনে স্বামীর যৌনক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বলে অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া, স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগও এনেছেন মামলাকারী। তিনি জানিয়েছেন, পরপুরুষের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। যাবতীয় অভিযোগের সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এর পরেই পারিবারিক আদালতে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়।
বিবাহবিচ্ছেদের পর স্বামীর কাছ থেকে স্থায়ী ভরণপোষণ চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত মহিলা। কিন্তু উচ্চ আদালত তাঁর আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিবাহবিচ্ছেদের আগে এবং পরে মহিলা অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। ব্যভিচার এবং নিষ্ঠুরতার দায়ে তিনি অভিযুক্ত। তাই তিনি স্বামীর কাছ থেকে স্থায়ী ভরণপোষণ পাবেন না।