মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করতে এসে উল্টো নিজেই দণ্ড পেয়েছেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এই ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আল্লাম-এর আদালতে। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম সুমন আলী। তিনি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মাহেন্দ্রা গ্রামের অধিবাসী।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী নজরুল ইসলামের বরাতে জানা যায়, একই গ্রামের হোসেন আলীর কাছে সুদের ওপর টাকা খাটিয়েছিলেন সুমন আলী। কথা ছিল এক লাখ টাকার ওপর প্রতি বছর ত্রিশ হাজার টাকা করে দেবেন ঋণগ্রহীতা। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। ঋণদাতা সুমন আলী থানায় গিয়ে জিডি করেন। সেই জিডির বিষয়ে পুলিশি তদন্তের অনুমতি নিতে আজ আদালতে হাজির হন সুমন আলী।
কিন্তু আদালত পর্যালোচনা করে দেখতে পান, জিডিতে বাদীর অভিযোগের সঙ্গে প্রকৃত ঘটনার মিল নেই। জিডিতে দাবি করা হয়েছে, এক মাস পর ফেরতের শর্তে হোসেন আলীকে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন সুমন আলী। কিন্তু এ-সম্পর্কিত অঙ্গীকারনামায় লেখা আছে, এক লাখ টাকার ওপর প্রতি বছর ত্রিশ হাজার টাকা করে সুদ প্রদান করার শর্তে টাকা আদানপ্রদান করা হয়েছিল। থানায় ও আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে ঋণগ্রহীতাকে হয়রানি করার অপরাধে আদালত তাৎক্ষণিকভাবে বাদী সুমন আলীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৮২ ধারার অপরাধ আমলে নেন এবং তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
বিচারের জন্য আসামি ভিন্ন কোনো বিচারকের কাছে যেতে চান কি না, আসামিকে এই প্রশ্ন করেন আদালত। আসামি এই সুযোগ গ্রহণ না করে উক্ত বিচারকের কাছেই বিচারের জন্য নিজেকে সোপর্দ করেন এবং নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আদালতকে তিনি বলেন, একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি হয়েও ভুল তথ্য প্রদান করে মামলা করার চেষ্টা করার জন্য তিনি অনুতপ্ত। আদালত তাকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে অর্থদণ্ড পরিশোধ করার পর ছাড়া পান তিনি।