‘দেশের ব্যাংকে টাকা নেই’ ফেসবুকে এমন একটি পোস্টে তোলপাড় শুরু হয়। এক সরকারি কর্মচারির ফেসবুক থেকে ছড়ানো হয়েছিলো ব্যাংকে টাকা না থাকার গুজবটি।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতেই তিনি এ কাজটি করেছিলেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিশও।
গুজব ছড়ানো ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম রুবেল। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কর্মচারী।
গত ৭ নভেম্বর সাইফুল তার ফেসবুকে লেখেন, ‘২ লাখ টাকা নিয়ে গেলাম ম্যানেজার সাহেবের কাছে, সোনালী ব্যাংকের সুপ্রীম কোর্ট শাখার ম্যানেজার বললেন দুই লাখ টাকা নেই ব্র্যাঞ্চে। এই হলো বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি …’
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাইফুলের একাউন্টে ছিলে পাঁচ হাজার টাকা। অথচ তিনি দুই লাখ টাকার চেক নিয়ে ব্যাংকে যান এবং টাকা না পেয়ে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য পোস্ট করেন। মুহূর্তেই সেই গুজবটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখার ব্যবস্থাপক শেখ মজনুর রহমান জানান, সাইফুল নামের ওই ব্যক্তির একাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা ছিল। অথচ তিনি টাকা তুলতে দুই লাখ টাকার চেক জমা দিয়েছিলেন। তাই তার চেকটি ফেরত দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৭ নভেম্বর এই শাখায় গ্রাহকদের লেনদেন মিটিয়েও ভল্টে এক কোটি টাকার ওপরে ছিল। তার ফেসবুকে করা পোস্ট ভাইরাল হলে ব্যাংকটির অনেক শাখার গ্রাহকরা টাকা তুলে নেবার বিষয়ে যোগাযোগ শুরু করেন।
শেখ মজনুর রহমান জানান, অভিযুক্ত রুবেলের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন তারা। বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেছে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি ‘মানসিক টেনশন’ থেকে ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দেই। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছিল অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই, এটা সত্যি।
সাইফুল জানান, ফেসবুকে ভাইরাল হতে গিয়ে এরকম স্পর্শকাতর পোস্ট দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই দিন (৭ নভেম্বর) রাতেই পোস্টটি মুছে ফেলি। পরে ক্ষমা চেয়ে আরেকটি পোস্ট দেই। তবে এরই মধ্যে অফিসিয়ালি কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি।
সূত্র : একাত্তর টিভি