সমকামী যৌন সহবাসকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে – এমন একটি আইনকে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করার চার বছর পর, আদালতটি সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য করা আবেদনগুলোর বিষয়ে শুনানি করতে সম্মত হয়েছে। এর ফলে দেশটির এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের আরেকটি উল্লেখযোগ্য অধিকার অর্জনের বিষয়ে আশা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে দুটি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া অধস্তন আদালতে থাকা অনেকগুলো আবেদন সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করা হবে। প্রধান বিচারপতি ডি. ওয়াই. চন্দ্রচূড়-এর নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ গত শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সরকারকে একমাসের মধ্যে নিজেদের জবাব দাখিল করার আদেশ দেয়।
চন্দ্রচূড় নভেম্বরে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এলজিবিটিকিউ ও নারী অধিকার বিষয়ে অনেকগুলো প্রগতিশীল রায়ের জন্য তিনি সুপরিচিত। সমকামী সহবাসকে অপরাধ গণ্য করা ঔপনিবেশিক আমলের আইনটি, ২০১৮ সালে পাঁচ বিচারপতির যেই বেঞ্চটি বাতিল করেছিল, সেই বেঞ্চেও ছিলেন চন্দ্রচূড়। বেঞ্চটি আইনটিকে সমর্থনের অযোগ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল।
তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সমকামী বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার মত সংবেদনশীল বিষয়ে কি অবস্থান নেয় তা এখনও দেখা বাকি রয়েছে। দলটির সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে অনেক হিন্দু রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া বেশিরভাগ দেশই ইউরোপ বা আমেরিকায় অবস্থিত। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তাইওয়ানই একমাত্র দেশ যারা সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা