দেশের অধস্তন আদালতসমূহে কর্মরত ১২ জন বিচারককে বদলি করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জন জেলা ও দায়রা জজ এবং ২ জন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত বৃস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তাঁদের বদলি সংক্রান্ত পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ওসমান হায়দার সই করা প্রজ্ঞাপনের ভাষ্যমতে, সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে জুডিসিয়াল সার্ভিসের এসব সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। তাঁদেরকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বদলিকৃত কর্মস্থলে প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
ঢাকার বিসেশ জজ আদালত-৪ এর বিশেষ জজ শেখ নাজমুল আলমকে যশোরের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলি করা হয়েছে। ঢাকার মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আবদুল হান্নানকে বদলি করে মুন্সিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনকে বদলি করা হয়েছে মাদারীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। আর মাদারীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রফিকুল ইসলামকে বদলি করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকার মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানকে বদলি করে রাজশাহীর মহানগর দায়রা জজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিমকে বদলি করে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর মহানগর দায়রা জজকে বদলি করা হয়েছে রংপুরের শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান বিচারক হিসেবে। আর রংপুরের শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান বিচারক মো. হায়দার আলীকে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নিররাযতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. সোলায়মানকে বদলি করা হয়েছে মৌলভীবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে। আর মৌলভীবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আফিয়া বেগমকে বদলি করে ঢাকার সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া টাঙ্গাইলের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ায়েজ আল কুরুনী ও জামালপুরের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আরিফুল ইসলামকে বদলি করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকার অর্থ ঋণ আদালতের জজ হিসেবে।