আইনজীবীদের অসহনশীন না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আইনজীবীরা অসহনশীল হলে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।
ঢাকা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সমিতির জিল্লুর রহমান অডিটোরিয়ামে ‘শুভ বিজয়া-শুভ বৌদ্ধ পূর্ণিমা-শুভ বড়দিন পুণর্মিলনী-২০২৩’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত সদস্যদের আমি অনুরোধ করি, আপনারা প্রতিটি পদক্ষেপে বেঞ্চকে (বিচারকদের) সহায়তা করবেন। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া ন্যায় বিচার করা সম্ভব না।
আরও পড়ুন : যিনি একসময় ওকালতিই করতে চাননি, তিনিই আজ দেশের প্রধান বিচারপতি!
এসময় আইনজীবীদের অসহনশীন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আইনজীবীরা অসহনশীল হলে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে না। পরিণামে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আমরা কোনোভাবে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেব না।
আরও পড়ুন : সবচেয়ে ভালো আইনজীবী তিনি, যিনি সবচেয়ে বিনয়ী : প্রধান বিচারপতি
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ.এইচ.এম হাবিবুর রহমান, মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান (মন্টু) এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট প্রাণ নাথ।
এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার (এমপি), রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সহ সম্পাদক স্বামী শান্তিকরানন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট পরিমল কুমার বিশ্বাস সহ আইন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটি সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শেখর চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এ দেশের সাধারণ মানুষের উপর বারবার নির্যাতন করা হয়েছে, দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু প্রতিবারই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। বক্তারা আরও বলেন, সকল ধর্মের মূল উদ্দেশ্যই হল মানুষের শান্তি।