মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : তিন লক্ষ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় ৪ জন পাচারকারীর প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। একইসাথে দন্ডিতদের প্রত্যেককে ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৩ মার্চ) কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। একই কার্যালয়ের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
দন্ডিত আসামীরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার নতুন পল্লান পাড়ার আবদুল গণির পুত্র মীর আহমদ (৫১), একই উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ উত্তর পাড়ার মৃত সৈয়দুর রহমানের পুত্র মোঃ হাবিব উল্লাহ (৪৪), একই উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রি পাড়ার মৃত মোঃ হোসেনের পুত্র শরীফ হোসেন (৪৫) এবং ভোলা জেলার চর ফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর গ্রামের গোলাম হেসেনের পুত্র রফিক (৩৫)।
দন্ডিতদের মধ্যে মীর আহমদ ও শরীফ হোসেন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দন্ডিত অপর ২ জন আসামী যথাক্রমে মোঃ হাবিব উল্লাহ ও রফিক পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ, আসামীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট নুরুল মোস্তফা মানিক, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম সিকদার রাজু, অ্যাডভোকেট দিদারুল মোস্তফা, অ্যাডভোকেট সলিমুল মোস্তফা এবং অ্যাডভোকেট মোঃ তানভির শাহ আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন।
অপর এক মামলায় রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন
১০ হাজার ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় কক্সবাজারে ১ রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে দন্ডিত আসামীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ (ভা:) নিশাত সুলতানা সোমবার (১৩ মার্চ) এ রায় ঘোষণা করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন।
দন্ডিত আসামী হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প ব্লক-৯ এর মৃত কাছিমের পুত্র রোহিঙ্গা হামিদ হোসেন (২৫)। দন্ডিত আসামী রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে একই আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী এবং আসামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট তাজমিন হুদা চৌধুরী সেতু আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন।