চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে ফাল্গুনের আগমন উপলক্ষে দিনব্যাপী আইনজীবী অডিটরিয়ামে গত ১৩ মার্চ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঞা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মহনাগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুনেছা, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এ.এস.এম. বদরুল আনোয়ার, চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্টেট মো. রবিউল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম. বজলুর রশীদ, সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।
সমিতির সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বেলালের সঞ্চালনায় ও পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, সহসভাপতি আবদুল হক, সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান, অর্থ সম্পাদক মোশারফ হোছাইন, পাঠাগার সম্পাদক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বেলাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অলি আহমদ, নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন, জামশেদ আলম, মো. ইকবাল হোসাইন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মনজুর আলম, সাজেদা বেগম (সাজু), ইসরাত জাহান মুকুল, মিনহাজ উদ্দিন, রানা মিত্র, আবিদা সুলতানা (শারমিন), ফারজানা হাকিম চৌধুরীসহ বিদায়ী পরিষদের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ এবং সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণসম্পাদকবৃন্দ সহ বিপুল সংখ্যক বিজ্ঞ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, আইনজীবী সমিতি প্রতি বছর পেশাগত কর্মব্যস্ততার মাঝেও বাঙ্গালী জাতির ঐতিহ্যকে ধারণ করে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করছে যা প্রশংসার দাবী রাখে। শীতের হাওয়ার নাচন থামতে না থামতেই দুয়ারে দাঁড়িয়ে ঋতুরাজ বসন্ত। বাঙ্গালীর এমন এক দৃষ্টিভঙ্গি আছে বলেই বসন্ত আজ বর্ণিল সাজে সেজেছে। বাঙালীরা আজ একাকার হয়ে বাসন্তী রংয়ে সেজেছে। আমরা আমাদের প্রজন্মকে বাঙ্গালীর সত্তা এবং ধারাবাহিকতায় তৈরী করতে চাই। আমরা আমাদের কর্মজীবনে পেশাগত কাজের ফাঁকে আমাদের সকলের হৃদয়ের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে চাই।
বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মঞ্চ শিল্পী, আইনজীবী শিল্পী এবং তাদের পরিবারবৃন্দ গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্ট পরিবেশন করেন। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে অডিটরিয়ামে রকমারী স্টল স্থাপন করা হয়।