বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাম হাত হারানো ১১ বছরের শিশু রাফিকে ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি কে. এম. কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোঃ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টদের অবহেলা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম মিয়া।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মনিরুল ইসলাম ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, গত বছরের ৩১ জুলাই বিকাল ৪টায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার রেজাউল করিম সোহাগ সরকার এর শিশু পুত্র রাফি (বয়স ১১ বছর) ভাড়া বাসার বারান্দায় খেলা করছিল। এ অবস্থায় তার হাতে থাকা দৈর্ঘ্য পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত একটি টেপ কাভারবিহীন বৈদ্যুতিক তারের উপর পরে এবং সাথে সাথে আগুন লেগে যায়। এতে শিশু পুত্র রাফি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হয়, যার ফলে শিশু রাফির বাম হাত, পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে মারাত্মক গুরুত্বর জখম হয়।
এই আইনজীবী আরো বলেন, শিশুটিকে মারাত্বক আহত অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে “শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে” চিকিৎসার্থে নেওয়া হলে জীবন রক্ষার তাগিদে তার বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয় এবং সে অদ্যাবধি সে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।
শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হওয়ার কারণে রাফির শিক্ষা, কর্মসহ ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চিত অন্ধকারে নিপাতিত হয়েছে উল্লেখ করে আইনজীবী মনিরুল জানান, রাফি প্রাণে বেঁচে গেলেও ডাক্তাররা তার কৃত্রিম হাত সংযোজন করতে হবে মর্মে পরামর্শ প্রদান করেছেন।
কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোন তদন্ত কিংবা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। পল্লী বিদ্যুৎ বিধি অনুসারে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার সুযোগ থাকলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ প্রেক্ষিতে শিশু রাফির বাবা ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার রেজাউল করিম সোহাগ সরকার এই রিট পিটিশনটি দায়ের করেন বলে উল্লেখ করেন রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী।