দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) ঢাকা মহানগর ১৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুর্শিদ আহাম্মদ এ রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার আবুল কাশেম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরাভ খান পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গত ২৮ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। ২০ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ৭ মে এ মামলা রায়ের পর্যায়ে আসে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু জানান, গত ১৩ এপ্রিল এ মামলায় আত্মপক্ষ শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল। পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি রবিউল ওরফে আরাভ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে রাজধানীর মগবাজারে শ্বশুরের বাসায় যান। সেখানে গুলিভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।
এ ঘটনায় ডিবি পশ্চিমের তৎকালীন গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার কুণ্ডু রমনা মডেল থানার আরাভের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেন।
ওই মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০১৫ সালের ১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। একই বছরের ১০ মে রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিনে নিয়ে আত্মগোপন করে আরাভ। পলাতক থাকতায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
সম্প্রতি দুবাইয়ে আরাভ খান ঘটা করে তার সোনার দোকান উদ্বোধন করলে পুলিশ জানায়, আরাভই দেশে রবিউল নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি আরাভ খান নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে পাড়ি জমান।