চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
এর আগে চলতি বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত।
আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম।
এ সাত আসামির মধ্যে চারজন কারাবন্দি। ভোলা জামিনে, কালু পলাতক এবং মুছা রয়েছেন নিখোঁজ।
অভিযোগ গঠনের দিন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করেন আসামি বাবুল আক্তার। বাবুল আক্তার যখন ঢাকায় ছিলেন তখন সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ৩০২, ২০১ এবং ১০৯ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়।
এরপর চার্জ গঠনের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বাবুল আক্তার।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে ২ হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ অভিযোগপত্র গত ১০ অক্টোবর গ্রহণ করেন আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় মামলার বাদী ছিলেন বাবুল আক্তার। তদন্তের পর সেই মামলায় আসামি হন বাবুল আক্তার।