স্ত্রী সানজানা ইসলাম জেরিনকে শ্বশুরবাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে তাকে উদ্ধারে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু জেরিন বাবা-মায়ের কাছে থাকতে চাওয়ায় স্বামীর দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (১৫ মে) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বাহাউদ্দিন ইমরান।
পরে আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, আদালতের আদেশে সানজানা ইসলামকে তার বাবা আজ হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন। আদালতের কাছে সানজানা ইসলাম তার বাবা-মায়ের কাছে থাকার কথা জানিয়েছেন।
এছাড়া স্বামীকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এ কারণে রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন বলেও জানান রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী।
এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল বিয়ে করা স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে আটকে রাখার ঘটনায় স্বামীর রিট দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে সানজানা ইসলাম জেরিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে জেরিনকে আটকে রাখার ঘটনা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছন আদালত। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০২২ সালের ৬ মার্চ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক মানিক খন্দকার ও পিরোজপুরের কাউখালীর সানজানা ইসলাম জেরিন।
ঢাকাতে বিয়ে হওয়ার পর কিছুদিন একসঙ্গে বসবাস করেন তারা। তবে চলতি বছর বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হলে জেরিনকে তার বাবা সুকৌশলে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন।
আইনজীবী জানান, বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখার পর স্বামীকে তালাক দিতে জেরিনকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে তার পরিবার। পরিবারের কথা না শুনলে জেরিন ও তার স্বামীকে মেরে ফেলাসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় রিটকারী মানিক খন্দকার সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি বারবার স্ত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরে প্রতিকার হিসেবে স্ত্রীকে উদ্ধার চেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটের শুনানি নিয়ে জেরিনকে আদালতের সামনে হাজিরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।