অভিযোগ পত্রে জব্দ করা হেরোইনের পরিমাণে গড়মিল থাকার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাসান সিকদারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৯ মে সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
ওই মামলার আসামির জামিন শুনানির সময় বিষয়টি নজরে এলে সোমবার (১৫ মে) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাজনীন নায়েম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে এজাহার থেকে উল্লেখ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর আসামির কাছ থেকে ১০০০ পুরিয়া হেরোইন (ওজন অনুমান ৫০ গ্রাম, মূল্য ২ দুই লাখ টাকা) উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানার এসআই মো. শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
জব্দকৃত ৫০ গ্রাম হেরোইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা রাসায়নিক পরীক্ষকের মতামত অনুযায়ী অভিযোগ পত্রে উদ্ধারকৃত হেরোইনের ওজন ২০.৫ গ্রাম লিখেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা জব্দকৃত মাদকের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারেন কিনা, সেই প্রশ্নে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. হাসান সিকদারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। তিনি আগামী ২৯ মে সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে এর জবাব দেবেন। পাশাপাশি আসামির জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন।
মামলার আসামি হচ্ছেন, মো. ফজলে রাব্বী ওরফে পিংকি রাব্বী।