ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সান্ধ্যকালীন প্রফেশনাল এলএল.এম ভর্তি বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ঢাবির আইন বিভাগের এই কোর্স বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার (১৭ মে) দুপুরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ -এর ব্যানারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা এ প্রতিবাদ সভা করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, এই সিদ্ধান্ত নিন্দনীয়! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের সাধারণ মাস্টার্সের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করে! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এই বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
জিপিএ ২.৫ দিয়ে কি কেউ আইন বিভাগের সনদ পেতে পারে? নিয়মিত এলএল.এম আর তার এই বাণিজ্যিক এলএল.এম এর মাঝে কি কোন পার্থক্য থাকা উচিত না?
এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ/ঘ ইউনিটে/আইন বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মিনিমাম টোটাল জিপিএ ৭.৫ এবং এসএসসি কিংবা এইচএসসিতে মিনিমাম জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে। তাহলে মাস্টার্সে ভর্তির ক্ষেত্রে ২.৫ কেন? এটা কি দুর্বলকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নয়?
এই কোর্স যদি পেশাগত উন্নয়নের জন্যই হয়ে থাকে তাহলে দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীরাই এখানে পড়ার সুযোগ পাওয়ার কথা। এত দুর্বল ছাত্ররা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গা থেকে এভাবে সনদ পেতে থাকে, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠত্ব থাকে কি?
জানতে পেরেছি রেগুলার মাস্টার্স-এ বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করা হয়েছে, যদি তাই হয় তাহলে তথাকথিত “প্রফেশনাল” মাস্টার্স-এর কোন প্রয়োজন আছে কি?
এই উদ্যোগ জ্ঞান বিতরণের উদ্দেশ্যে নয়, পুরোপুরি বাণিজ্যিক! তাই এটি মানহানি কর। এই পেশাগত কোর্স অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত বলেও প্রতিবাদ সভায় থেকে বলা হয়।