চট্টগ্রামে ১৫০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেছা আকতারকে দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের যুগ্ম জেলা জজ মুজাহিদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
মোহাম্মদ আলী চট্টগ্রামের ইমাম গ্রুপের এমডি। তার বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন আদালতের ব্যঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম।
আদালত সূত্র জানায, সোনালী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা ২০১২ সালে একটি অর্থঋণ মামলা করেন। সেই মামলায় ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল ৮০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে ডিক্রি জারি করেন আদালত। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে অর্থ পরিশোধ না করায় তা সুদে আসলে ১৮৪ কোটি টাকা হয়ে যায়।
এ টাকা আদায়ে ২০২২ সালের ২ নভেম্বর ব্যাংক একটি অর্থঋণ জারি মামলা দায়ের করেন। এ ঋণের বিপরীতে ঋণখেলাপিদের কোনো সম্পদ বন্ধক হিসেবে ছিল না। তাই নিলামে বিক্রি করে অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই। মামলা দায়েরের পর ঋণখেলাপিরা ১১ বছরে ব্যাংকের কোনো পাওনা পরিশোধ করেননি।
হলফনামা দিয়ে ডিক্রিদার ব্যাংক দাবি করেন, ঋণখেলাপি মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেছা আক্তার সংযুক্ত আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসা নিয়ে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। দেশ থেকে অর্থপাচার করে দুবাইয়ে নানা ব্যবসা বাণিজ্যে বিনিয়োগ করেছেন। এ দু’জনের বিরুদ্ধে ১৫টি খেলাপি ঋণের মামলা চলছে। সেখানে ব্যাংকগুলো দাবি করা খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৫০০ কোটি টাকার বেশি।
সার্বিক বিচেনায় চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোডের রোড নম্বর ৮, বাড়ি নম্বর ৫৭ জেবি হাউজের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী জেবুন্নেছা আক্তারকে পাঁচ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশ প্রদান করা হয়।
তাদের দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।