আদালতে জাল দলিল দাখিল করার অপরাধে বাদী বাবুল হোসেনের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন মেহেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দীক।
সোমবার (২২ মে) দুপুরের দিকে এই কারাদাণ্ডাদেশ দেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি বাবুল হোসেন মেহেরপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বাদী হয়ে দেওয়ানি ২৮৮/২০১০ নম্বর মামলা দায়ের করেন। এই মামলার বাদী বাবুল হোসেন আদালতে একটি দলিল দাখিল করেন যা আদালতের পর্যবেক্ষণে সন্দেহজনক মনে হয়।
পরে মেহেরপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. ফারুক ইকবাল ওই দলিলের স্ট্যাম্প বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ট্রেজারি অফিসকে নির্দেশ প্রদান করেন। ট্রেজারি অফিস থেকে আদালতে দাখিলকৃত স্ট্যাম্পটি জালমর্মে প্রতিবেদন দেন।
আদালতের পর্যালোচনায় বাদীর দাখিলকৃত স্ট্যাম্পটি জাল বলে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক মো. ফারুক ইকবাল ২০১৩ সালে নিজে বাদী হয়ে সিআর ৩৫৮/১৪ নম্বর মামলা দায়ের করেন।
উভয় পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক শেষে মেহেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দীক মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।
আসামি বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায় আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন, আসামিকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে প্রাণের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।