আসন্ন জাতীয় বাজেট প্রণয়নে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আইনজীবীদের ১১ দফা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বে সমিতির একটি প্রতিনিধি দল বুধবার (২৪ মে) প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ১১ দফা নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবীদের করা মামলার কোর্ট ফির ৫ শতাংশ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ফান্ডে জমাকরণ, বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিকল্পে বিচারকদের বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, আইন পেশা ও বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে নবীন এবং তরুণ আইনজীবীদের জন্য ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপনের দাবি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ও সময়ের দাবি।
সাক্ষাতকালে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল জালাল চৌধুরী, সমিতির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল শাহেদ আলী জিন্নাহ্, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল শেখ রেজাউল করিম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী শাহনারা ইয়াসমিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন, মিজানুর রহমান, নাসির উদ্দিন খাঁন সম্রাট, সৈয়দ আলম টিপু, সাবিনা ইয়াসমিন লিপি, সাবিনা আহমেদ মলি প্রমুখ।
এর আগে গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান অর্থপাচার রোধ ও ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ‘ব্যাংক ও বীমা’ বিভাগ নিয়ে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানান।
পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আয়কর আইনের নানা জটিল বিষয়গুলো দ্রুত সংস্কার এবং সহজ শর্তে দেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিলে অর্থপাচার অনেকটা কমবে বলে তার ধারণা। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।