সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর সহকারী জজ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে জাল দলিল দাখিল করায় মামলার বাদী রিংকু দাসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক। একইসঙ্গে রিংকু দাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩১ মে) দুপুরে সহকারী জজ আদালত বিশ্বম্ভরপুরের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান বাদী হয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলটি দায়ের করেন।
বিশ্বম্ভরপুর সহকারী জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ আলী ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিংকু দাস, জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার প্যারীনগর গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র দাসের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুর সহকারী জজ আদালতে রিংকু দাস ০৭/২০১৭ নম্বর মামলা দায়ের করেন একই উপজেলার নিবাসী আসমত খান গং এর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বাদী তিনটি দলিল আদালতে দাখিল করে, বিবাদীদের বিরুদ্ধে নালিশা ভূমিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনা কালে বিচারকের নিকট তিনটি দলিলের মধ্যে ১৮/০৪/১৯৬৮ ইং তারিখযুক্ত ৩৭৬৬/৬৮ নং দলিলটি অস্তিত্বহীন ও জাল এবং ২১/১১/২০০৭ ইং তারিখের ৭৯৮ নং দলিলটি ঘষা মাজা করে টেম্পারিং করা মর্মে স্পষ্ট হয়।
বুধবার প্রকাশিত এ মামলার রায়ে আদালতের বিচারক বাদী রিংকু দাস জাল দলিল দাখিল করেছেন বলে উল্লেখ করেন এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় মামলা খারিজ করে বাদীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সেই সাথে আদালতে জাল দলিল দাখিল করায় বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান নিজে বাদী হয়ে, ওই মামলার বাদী রিংকু দাসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সুনামগঞ্জ সদর আমলী আদালত) জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন।