আদালতে দায়ের করা একটি স্বত্ব মামলায় জাল দলিল দাখিল করায় বাদীর বিরুদ্ধে বিচারকের করা পাল্টা মামলায় ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায়।
এর আগে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর সহকারী জজ আদালতে দায়ের করা একটি স্বত্ব মামলায় জাল দলিল দাখিল করে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় গত ৩১ মে মামলার বাদী রিংকু দাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সুনামগঞ্জে বাদী হয়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিলেন সহকারী জজ আদালত বিশ্বম্ভরপুরের বিচারক মো. আরিফুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুর সহকারী জজ আদালতে রিংকু দাস বাদী হয়ে একই উপজেলার বাসিন্দা আসমত খান গংয়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় তিনি তিনটি দলিল আদালতে দাখিল করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে নালিশা ভূমিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনাকালে বিচারকের কাছে তিনটি দলিলের মধ্যে একটি দলিল ভুয়া, জাল এবং আরেকটি দলিল ঘষা-মাজা করে টেম্পারিং করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে বাদিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সেই সঙ্গে আদালতে জাল দলিল দাখিল করায় বিচারক মো. আরিফুর রহমান নিজে বাদী হয়ে মিথ্যা মামলার বাদী রিংকু দাসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জালিয়াতির মামলা করেছিলেন।
ঐ দিনই মামলার আসামী রিংকু দাসের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাদুজ্জামান গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রদান করেন। আসামী রিংকু দাস দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আজ আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য হাজির হলে, সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায়।
এদিকে আদালতের এ আদেশের ফলে জনমনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। জাল দলিল ও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে আদালত যথাযথ পদক্ষেপ নিলে সাধারণ জনগণের দু্র্ভোগ অনেক লাঘব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।