করপোরেট মামলার আইনজীবী ঈভ টিলি-কুলসন (৩৫)। ৫ বছর ধরে তিনি সিঙ্গেল। এভাবে আর দিন কাটতে চায় না। তাই একজন জীবনসঙ্গী, মানে স্বামী প্রয়োজন তার। এমন একজন পুরুষ খুঁজে পেতে অস্থির হয়ে পড়েছেন।
কিন্তু নিজে পছন্দসই পাত্র খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই অন্যদের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘোষণা দিয়েছেন তাকে কেউ পছন্দমতো একজন পাত্র খুঁজে দিলে তাকে ৫০০০ ডলার পুরস্কার দেবেন। এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
ঈভ টিলি-কুলসনের বসবাস যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যানজেলেসে। সেখানে বন্ধুবান্ধবের সহায়তা নিয়েছেন। কিন্তু পছন্দের পুরুষ কেউই খুঁজে দিতে পারছেন না। তাই তিনি নিউ ইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন- কয়েকদিন আগে আমার বন্ধুদের বলেছি, যদি তারা কেউ আমাকে একজন ‘স্বামী’ খুঁজে দিতে পারেন তাহলে তাদেরকে ৫০০০ ডলার পুরস্কার দেবো।
টিকটকে আছে তার এক লাখ এক হাজার ভক্ত। জুনে তাদের কাছেও তিনি আপিল করেছেন। বলেছেন, তোমরা আমাকে একজন পুরুষকে খুঁজে দাও। তাকে আমি বিয়ে করবো। এমন পুরুষ খুঁজে দিলে তোমাদেরকে ৫০০০ ডলার পুরষ্কার দেবো। তবে এখনও কোনো ইতিবাচক জবাব পাননি তিনি। বলেছেন, এখনও পর্যন্ত কারো সঙ্গে অন্তরঙ্গ ডেটিংয়ে যেতে পারিনি। সবাই আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন।
ঈভ টিলি-কুলসন বলেন, ৫ বছর ধরে আমি সিঙ্গেল। ব্যক্তিগতভাবে লোকজনের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হচ্ছে। অ্যাপসেও জানাশোনা হচ্ছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের সময় থেকে ডেটিং সংস্কৃতিতে উদ্ভট এক রীতি চালু হয়েছে। কোনো পুরুষ ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে চায় না। আবার অ্যাপসে যেসব পুরুষ আসেন, তারা ডেটিংয়ের বিষয়ে সিরিয়াস না।
পুরস্কারের ক্ষেত্রে ঈভ টিলি-কুলসন যে শর্ত দিয়েছেন তা হলো পছন্দের পুরুষের সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হলে, বিয়ের সনদে স্বাক্ষর হলে, তবেই ওই অর্থ দেবেন। তার পাণিপ্রার্থী কেমন হবে সে বিষয়েও বর্ণনা দিয়েছেন। বলেছেন, তার বয়স হতে হবে ২৭ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা হতে হবে ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি বা তারও বেশি। তার থাকতে হবে স্পোর্টস, পশুপাখি এবং শিশুদের প্রতি প্রবল আগ্রহ।
এখন পর্যন্ত তিনি যেসব পুরুষের সঙ্গে ডেটিং করেছেন তারা তার উচ্চতা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কারণ, তারা তাকে হিল পরতে বারণ করেন। হিল পরলে ঈভ টিলি-কুলসনের উচ্চতা অনেক বেশি হয়ে যায়। তিনি এমনিতেই ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উঁচু। এর ওপর হিল পরলে সংশ্লিষ্ট পুরুষের চেয়ে তাকে অনেক বেশি উঁচু দেখায়। তাই তাকে হিল না পরতে উৎসাহিত করেন ওইসব পুরুষ। এতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ঈভ টিলি-কুলসন।
অনেক দূরত্বের কোনো পুরুষ পছন্দ হলে তাকেও তিনি বিয়ে করতে রাজি। বলেন, একজন পারফেক্ট পুরষকে একটি পারফেক্ট বিয়ের দিনে বিয়ে করতে চাই। সেদিন সে আমার ভাইয়ের সঙ্গে ছবি তুলতে পারে। দাদিমার সঙ্গে নাচতে পারে। ঘরে কিভাবে কাজ করতে হবে তা সে জানে। তারপর আমাকে টেককেয়ার করতে হবে। এক কথায় তাকে হতে হবে সবকাজে পারদর্শী।