অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা: টমাস বেবিংটন মেকলে ছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য। তিনি ছিলেন ট্রিনিটি কলেজ ক্যামব্রিজ এর ফেলো। একাধারে তিনি ছিলেন এডিনবার্গ রিভিউ পত্রিকার নিয়মিত লেখক, আইনশাস্ত্রবিশারদ এবং ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্য। ১৮৩৯ সাল থেকে ১৮৪১ পর্যন্ত। মেকলেকে রথলির-ব্যারন করা হয় ১৮৫৪ সালে।
১৮৫৭ সালের সিপাহী-বিদ্রোহ পরবর্তী প্রেক্ষাপটে অখণ্ড ভারতীয় উপমহাদেশের সরকার ব্যবস্থায় প্রথম আইন – সদস্য ছিলেন বিখ্যাত লর্ড মেকলে। টমাস বেবিংটন মেকলে যার পুরা নাম। ( ১৮০০ -১৮৫৯)। চার্টার আইনের অধীনে ১৮৩৩ সালে প্রথম ল কমিশনের বিধান রাখা হয় এবং প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৮৩৪ সালে। ল কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন মেকলে।
অদ্যাবধি যে পেনাল কোড আমরা ব্যবহার করি, তার জনক হলেন টমাস বেবিংটন মেকলে। (১৮৩৩ -১৮৩৮) মোট পাঁচ বছর তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি তিনি প্রখ্যাত বেথুন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। নারী শিক্ষা সম্প্রসারণের একজন অগ্রদূত হিসেবে তাঁকে ব্রিটিশ ভারতে মান্য করা হয়।
ইউরোপের লর্ড মেকলে উদারনৈতিক চিন্তাধারার একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও প্রখ্যাত ঐতিহাসিক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। ব্রিটিশ রাজনীতি ও সাহিত্যে তাঁর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে প্রাঙ্গনে সমাহিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ আইনজীবী ও কেলটিক ভাষা পন্ডিত হুইটলি স্টোকস ১৮৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজে পাঠ শেষে ১৮৮৫ সালে কল- টু- বার প্রাপ্ত হন (ব্যারিস্টার)। তিনি ১৮৬২ সালে ভারতে আসেন।
১৮৭৭ সালে তিনি ভাইসরয়ের আইন -সদস্য নিযুক্ত হন এবং সেই সময়ে দেওয়ানী কার্যবিধি ও ফৌজদারী কার্যবিধি -এর যে সংশোধনী হয়েছিল তিনিই সেই খসড়া প্রণয়ন করেছিলেন।
১৮৮৭ সালে তিনি সি.এস.আই. এবং দুই বছর পর সি. আই. ই. উপাধিতে ভূষিত হন। তাঁকে দেয়া হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানজনক ডিগ্রি এবং ব্রিটিশ একাডেমির ফেলো করা হয়। তিনি লন্ডনে ১৯০৯ সালের ১৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
লেখক : অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর, জজ কোর্ট, খুলনা।