বাড়িতে প্রচন্ড অশান্তি করতেন স্বামী। তাই ত্যক্তবিরক্ত স্ত্রী উচিত শিক্ষা দেওয়ার ফন্দি আঁটলেন। নিজের নাবালক বোনকে প্ররোচিত করে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা ঠুকে দিলেন স্বামীর বিরুদ্ধে। কিন্তু আদালতে নিজেই পেলেন উচিত শিক্ষা।
ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের পূর্ব সিয়াং জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই মহিলাকে এক মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে অরুণাচলের আদালত। পাশাপাশি আদালত ওই তাকে ২০,০০০ টাকা জরিমানা করেছে। তবে বোন নাবালিকা হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে আদালত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আদালতের বিচারক জানিয়েছেন, এই আইনের বিষয়টি খুব পরিষ্কার। পকসো (দ্য প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইন যেন কেউ অপব্যবহার না করে।
এদিকে দণ্ডিত নারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, স্বামী বাড়িতে প্রচন্ড অশান্তি করতেন। সেকারণে উপায়ন্তর না পেয়ে ওই মহিলা এই অভিযোগ করতে বাধ্য হন। বার বার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সেকারণেই তিনি এই কাণ্ড করতে বাধ্য হন। সেকারণে শ্যালিকাকে দিয়ে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করান।
এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, এনিয়ে কাউকে রেহাই দেওয়া ঠিক নয়। কারণ এভাবে মিথ্যে অভিযোগ জানানোটা একটা প্রবণতা হয়ে যাবে। এনিয়ে একটা বার্তা দেওয়া দরকার। না হলে একটা ভুল প্রবণতা তৈরি হবে।
ওই মহিলার বোন নাবালিকা হওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে আদালত জানিয়েছে, একজন নিরীহ ব্যক্তির উপর এই ধরনের অভিযোগ আরোপ করাটা ঠিক নয়। এটা আইনের অপব্যবহার। এভাবে কারোর উপর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা যায় না।