হবিগঞ্জে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অপরাধে আইনজীবীসহ পাঁচজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত আইনজীবীর নোটারি পাবলিক সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে।
হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল আলম চৌধুরী বুধবার (৯ আগস্ট) এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট শহরের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া, অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে তেরা মিয়া, আলী হায়দর চৌধুরী, মামুনুর রহমান চৌধুরী ও মো. শাহীন আহমদ।
এর মধ্যে আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলামকে দুইটি ধারায় সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পাঁচ আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী এজেডএম নাসিম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি গোলাম কিবরিয়া হবিগঞ্জ সদর উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা ও বর্তমানে সিলেটে বসবাসরত আবু তাহের মর্তুজার কাছ থেকে ২০২১ সালে ৭৬ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির স্ত্রী হোসনে আরা বানু আদালতে মামলা দায়ের করলে টাকা ফেরত দেওয়ার নকল চুক্তিনামার মাধ্যমে জামিন লাভ করেন। আর নকল কাগজপত্র তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে তেরা মিয়া।
রায় ঘোষণার সময় মামুনুর রহমান চৌধুরী আদালতে উপস্থিত থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি চার আসামি পলাতক।