প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হলে অথবা কেউ যদি অপরাধ না করেও কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সরকার বিবেচনায় রাখবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
রাজধানীর আগারগাঁও সংলগ্ন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ রহিতকরণ এবং প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ উপস্থাপন অবহিতকরণ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো যে ব্যক্তি আইনের অপব্যবহারের শিকার হন, সে যেন ক্ষতিপূরণ পান। এই বিষয়টি আমরা আমাদের সাইবার সিকিউরিটি আইনে রাখার চেষ্টা করবো।’
তিনি বলেন, কাউকে যদি টেকনিক্যাল অপরাধে গ্রেফতার করা হয় তাহলে তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে সোপর্দ করতে হবে। যদি অপরাধ না করে থাকেন তাহলে তিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে নালিশ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আর মিথ্যা মামলার জন্য তার পক্ষে কোনো প্রতিকার রাখা যায় কিনা সে বিষয়েও আমরা কাজ করবো।
সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইনে আমরা বেশির ভাগ ধারাকে জামিনযোগ্য করে দিয়েছি। শুধু টেকনিক্যাল ১৭, ১৯, ২১, ২৭, ৩০, ৩৩ নম্বর ধারা হলো সাইবার সিকিউরিটিভিত্তিক। তাই এগুলোকে জামিনযোগ্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হলেও বিদ্যমান সব মামলা চলমান থাকবে’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির, আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন।
এদিকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির ওয়েবসাইটে খসড়াটি প্রকাশ করা হয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির (ডিএসএ) ওয়েবসাইটে যেকোনো নাগরিক এই খসড়া আইনের ওপর ১৪ দিন পর্যন্ত মতামত দিতে পারবেন।