মামলা না করে দুই পক্ষকেই যদি সমঝোতায় আনতে পারলে মামলার জট কমবে। পাশাপাশি লিগ্যাল এইডের মামলাগুলো কম সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারলেও মামলার জট কমবে। আবার সমাধানের মাধ্যমে নিয়ে আসতে পারলে আর নতুন মামলা সৃষ্টি হবে না।
চাঁদপুর সার্কিট হাউসে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ, বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন’ মামলা জট নিরসনে ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দেওয়া কার্যক্রমের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে শনিবার (১৯ আগষ্ট) এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান নাইমা হায়দার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমরা যদি প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে যার যার দায়িত্ব পালন করি তাহলে, অনেক কাজ সহজ হবে এবং মামলার জট কমবে। বিচার প্রার্থীদের জানাতে হবে লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে দ্রুত মামলার শেষ করা যায়।
চাঁদপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিস ও গ্রাম উন্নয়ন কর্মসংস্থার সহযোগিতায় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক।
জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. সাকিব হোসেন ও সিনিয়র সহকারী জজ নুসরাত জাহান জিনিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ফারহা মামুন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বেসরকারি কারা পরিদর্শক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) অ্যাডভোকেট রনজিত রায় চৌধুরী, জিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম বাবু, লিগ্যাল এইডের প্যানেল অ্যাডভোকেট মনিরা চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া।
সেমিনারে চাঁদপুর বিচার বিভাগের বিচারক, লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী, কারা পরিদর্শকসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।