ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করায় বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান রোববার (২০ আগস্ট) এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মামলার বাদী বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পূর্ব গাবতলী গ্রামের মো. হানিফের স্ত্রী নিলুফা বেগম। রায় ঘোষণা করার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি নিলুফা বেগম বাদী হয়ে একই ঠিকানার আবদুল খালেকের ছেলে আবুল কালামের বিরুদ্ধে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আবুল কালাম প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতেন। ওই বছর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে আসামি আবুল কালাম নিলুফা বেগমের বসত ঢুকে ধর্ষণ চেষ্টা করেন।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে বাদীর অভিযোগ মিথ্যা মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল নিলুফা বেগমের মামলা ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর খারিজ করে দেয়।
পরবর্তীতে মিথ্যা মামলা করার অপরাধে আসামি আবুল কালাম বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২০ মার্চ মূল মামলার বাদী নিলুফা বেগমের বিরুদ্ধে ওই ট্রাইব্যুনালে পাল্টা মামলা করেন। সেই মামলায় নিলুফা বেগমকে দণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, একটি যুগান্তকারী রায় হয়েছে। এই তথ্যটি সবাই জানলে কেউ মিথ্যা মামলা করবে না।
দণ্ডিত নিলুফার আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।