কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় মাহমুদুল হাসান নামে এক আইনজীবীর বাসা থেকে জান্নাতুল (২০) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার জিলা স্কুলের সামনের একটি ৫তলা ভবনের ৩য় তলায় আইনজীবীর বাসা থেকে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে মডেল থানা পুলিশ।
নিহত তরুণী জান্নাতুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার ওহিদুল মোল্লার মেয়ে। তিনি কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের (৯৯৯) ফোন কল পেয়ে মফিজ উদ্দীন লেনের গোলাম নবীর বাড়িতে যান। সেখানে তিনতলার একটি ফ্ল্যাটের ভাড়াটে আইনজীবী মাহমুদুল হাসান ওরফে সুমনের ফ্ল্যাটের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় জান্নাতুলের নিথর দেহ উদ্ধার করে। পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জান্নাতুলের মা শরিফা খাতুন বলেন, ২২ আগস্ট তার জন্মদিন ছিল। সকাল ৮টার দিকে বান্ধবীর বাসায় যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। তার বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। রাতে বড় মেয়ের জামাইকে ওই উকিল (মাহমুদুল হাসান) ফোন করে জানান, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি দোষীর শাস্তি চাই।
ওই ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন আইনজীবী মাহমুদুল হাসান। ঘটনার পর থেকে স্ত্রীসহ দুজনই পলাতক রয়েছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, মাহমুদুল হাসান কুষ্টিয়া জজ কোর্টের আইনজীবী। তার ভাড়া বাসার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে সেখানে আইনজীবীকে পাওয়া যায়নি। এটা আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু, সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।