চেক ডিজঅনারের মিথ্যা মামলা দায়ের করে নিজ প্রতিষ্ঠানের মালিককে হয়রানি ও সাজা খাটানোর ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, মো. অজিউল্লাহ, সঙ্গে ছিলেন আমিনা আক্তার।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এ কে এম গোলাম ফারুকের কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছ দুইটি চেক চুরি করে ২০১১ সালে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন।
পরবর্তী সময়ে সাবেক মালিক কে এম গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর ১ লাখ ৮ হাজার টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে প্রথম মামলাটি করেন।
ওই মামলা চলমান সত্ত্বেও ২০১৩ সালে ২০ লাখ টাকা চেক ডিজঅনারের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলার বিচার হয় চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের যথাক্রমে যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় এবং সপ্তম আদালতে।
২০১১ সালে দায়েরকৃত প্রথম মামলাটিতে আসামি এ কে এম গোলাম ফারুকের সাজা হয় এবং ২০১৩ সালে দায়েরকৃত দ্বিতীয় মামলায় আসামি খালাস পান।
পরে খালাস আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছ হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন। অপরদিকে সাজার আদেশের বিরুদ্ধে আসামি এ কে এম গোলাম ফারুক প্রথমে চট্টগ্রামে আপিল এবং পরে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন।
মামলা দুটির একত্রে শুনানি শেষে হাইকোর্ট উভয় মামলায় আসামি এ কে এম গোলাম ফারুককে খালাস দেন এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে সাবেক মালিক আসামি গোলাম ফারুককে হয়রানি করার কারণে বাদী মো. আলম ইউনুছকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
গত ২৪ আগস্ট বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে বাদী জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেন ব্যারিস্টার এ কে এম ফকরুল ইসলাম। অপরদিকে এ কে এম গোলাম ফারুকের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাভোকেট শামীমা সুলতানা ও শারমীন আক্তার।