কোনও পুরুষকে বিয়ের পর নিজের পরিবার ছাড়তে বাধ্য করা এবং স্ত্রী বা স্ত্রীর পরিজনের তরফে তাঁকে ‘ঘরজামাই’ করার চেষ্টাকে ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে রায় দিল ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট।
এই যুক্তিতেই ওই পুরুষটির তরফে দায়ের বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছে দেশটির দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশকুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনশনের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের সান্নিধ্যে শান্তি ও সুস্থিতি পাবেন–এটাই বিবাহের উদ্দেশ্য। এ ক্ষেত্রে সেই শান্তি-সুস্থিতির লক্ষ্যপূরণ যে হয়নি, ঘটনা-পরম্পরাই প্রমাণ করছে।
দু’দশকেরও বেশি, সেই ২০০২ থেকে স্বামী এবং স্ত্রী আলাদা থাকছেন। বস্তুত, বিয়ের পর বড়জোর ছ’মাস তাঁরা একত্রবাস করেছেন। দীর্ঘ দু’দশকের বিচ্ছিন্নতাই প্রমাণ করে, দাম্পত্য বলে কিছু টিকে নেই।
যেখানে এক-অন্যের সঙ্গে থাকেনই না দু’জনে, সেখানে বিয়ে টিকে থাকবে কী করে! এই বিচ্ছিন্নতা, এক অন্যের থেকে দীর্ঘ দিন পৃথক থাকাও নিষ্ঠুরতা।
এই ঘটনায়, সদ্য-বিবাহিত পুরুষটিকে নিজের পরিবার ছেড়ে চলে আসার জন্যে চাপ দেওয়া থেকে বিবাদের শুরু। বিয়ের পরেই তাঁকে ‘ঘরজামাই’ করতে উদ্যত হয় স্ত্রীর পরিবার।
এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের ২০১৬ সালের একটি রায়ের উল্লেখ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। ওই রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও বিবাহিত পুরুষকে তাঁর নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা নিষ্ঠুরতাই।
দিল্লি হাইকোর্টের মামলাটিতে পাত্র গুজরাটের বাসিন্দা। পাত্রী দিল্লির। ২০০১-এ তাঁদের বিয়ে হয়। ছ’মাসের মাথায় ওই তরুণীকে দিল্লি নিয়ে চলে আসেন তাঁর মা-বাবা।
স্ত্রীকে ফেরাতে বহু চেষ্টা করেন গুজরাটের ওই তরুণ। ব্যর্থ হন। তাঁকে উল্টে দিল্লি এসে ‘ঘরজামাই’ হতে বলা হয়।
সূত্র: এই সময়