গ্রামীণ টেলিকমে ২০০৬ সালের আগে থেকে যেসব কর্মচারী কাজ করতেন তাদের পাওনা মুনাফার দাবিতে মামলা হয়েছে। শ্রম আদালত ওই মামলায় নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে ১৮ শ্রমিক তাদের পাওনা মুনাফার দাবি নিয়ে ঢাকার শ্রম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, এখনো আমরা এই সমনের নোটিশ হাতে পাইনি। পাওয়ার পরে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, জারি করা সমনের বিষয়ে আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে জবাব দিতে হবে। এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের আরেক মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু হয়েছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান।
শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।