অর্থ আত্মসাতের মামলায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সাবেক রেকর্ড কিপার ও টিকিট কাউন্টারের ইনচার্জ আজিজুল হক ভূঁইয়ার ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।
আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় দেন।
আরেক ধারায় তাকে সাজা না দিয়ে অবৈধ উপায়ে আত্মসাৎকৃত অর্থের সমপরিমাণ অর্থাৎ ৩০ লাখ ৫০ হাজার ৬০১ টাকা জরিমানা করেন আদালত। যা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক।
দণ্ডিত আজিজুল হক ভূঁইয়া কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি ধানার বালিরারপাড় গ্রামের পারসু ভূঁইয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আজিজুল হক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম।
মামলাটির তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক নূরুল ইসলাম চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে বলা হয়, আজিজুল ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকার সময় টিকিট বিক্রির ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৫ টাকা এবং রোগী ভর্তির ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৪ টাকা আত্মসাৎ করেন।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ১৮ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।