দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অবসরে যাচ্ছেন আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সে সময় সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি চলবে। সে জন্য আজই (বৃহস্পতিবার) প্রধান বিচারপতির বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস।
নিয়ম অনুসারে আজ তাকে আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচার কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি বিদায়ী সংবর্ধনা দেবে।
তবে এ অনুষ্ঠানে যাবেন না আইনজীবীদের একাংশ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদলের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরাও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। এ বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের তথ্য, সম্প্রচার ও যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক এ কে আহসানুর রহমান বলেন, সম্ভবত বিএনপির আইনজীবীরাও অংশ নেবেন না।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে এ বিষয়ে টাঙ্গানো এক ব্যানারে দেখা যায়- ‘বিচার বিভাগকে আওয়ামী-বাকশালীকরণ ও সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এবং বারের ভোট ডাকাত-অবৈধ দখলদারদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রতিবাদে প্রধান বিচারপতির বিদায় সংবর্ধনা বর্জন।’
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথ বাক্য পাঠ করান।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
পড়ালেখা শেষে ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এবং ১৯৯৯ সালের ২৭ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খুলনা সিটি করপোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির আইন উপদেষ্টা ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলও।
২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এছাড়া তিনি ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।