সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইফতার মাহফিলে হামলা, ভাঙচুর, হুমকি ও প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় বিএনপি সমর্থিত ২৪ জন আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল, শাহ আহমদ বাদল, মাহবুবুর রহমান খান, মাহফুজ বিন ইউসুফ, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহাদিন চৌধুরী, জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল ইসলাম, ইউনুস আলী রবি, কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, মির্জা আল মাহমুদ, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান, নূরে আলম সিদ্দীকী সোহাগ, নজরুল ইসলাম ছোটন, মহসিন কবির রকি, ফয়সাল সিদ্দীকি, সফিউল আলম সপু, শহিদুল ইসলাম, মনজুরুল আলম সুজন, ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমদ রানজিব ও মো. ইসা।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।
গত ৯ এপ্রিল ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২৪ জনের নামে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল হাসান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৬ এপ্রিল আসামিরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এবং জামায়াতের নামে স্লোগান দিয়ে হঠাৎ মিছিল বের করেন। তারা প্রথমে আইনজীবী সমিতির ২ নম্বর হল রুমে, পরে ১ নম্বর হল রুমে প্রবেশ করে ইফতার অনুষ্ঠানের প্রধান বিচারপতির নাম সম্বলিত সব ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।
আইনজীবী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসনের চেয়ার-টেবিল ভেঙে ও কাপড় উপড়ে ফেলে সমিতি ভবনে ‘অরাজক অবস্থার’ সৃষ্টি করেন। এ সময় বাধা দিলে আসামিরা সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট পানু খান ও অ্যাডভোকেট মো. শাহনওয়াজসহ অন্য আইনজীবীদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে আহত করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, ‘সাধারণ আইনজীবীরা’ ওই ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সমিতির নিচ তলার সিঁড়ি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠছিলেন। এ সময় আসামিরা তাকে গালাগাল করার পাশাপাশি পানিভর্তি বোতল ছুড়ে মারেন।
পরদিন ১০ এপ্রিল বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ১২ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিনের আবেদন করেন।