অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ভারতের ভোপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং স্টেট জুডিশিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে বিচার মন্ত্রণালয় এই অনুমতি দিয়েছে।
সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমমানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এই বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা ৯ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিচার মন্ত্রণালয়।
বিচার মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের জাতীয় বিচার বিভাগীয় একাডেমি কর্তৃক ৯ থেকে ১৯ অক্টোবর ভোপালের জাতীয় বিচার বিভাগীয় একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই। ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ওই সমঝোতা স্মারকের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, বিশ্বের সব দেশেই হাইকোর্টের বিচারকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। ভারতের প্রতিটি রাজ্যে হাইকোর্টের বিচারকদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি জুডিশিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। ভোপালে তাদের ন্যাশনাল একাডেমি অফ জুডিশিয়ারি আছে। সেখানে আমাদের ১৫-১৬শ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।
এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নেন।