অবকাশে হাইকোর্টে দুই ধাপে ১৪ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ
সুপ্রিম কোর্ট

যৌন হয়রানি রোধে সুপ্রিম কোর্টের কমিটি পুনর্গঠন

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, প্রাপ্ত অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জন্য কমিটি পুনঃগঠন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এ বিষয়ে জারি করা এক স্মারকে এ তথ্য জানা গেছে।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে পুনর্গঠিত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। আর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফাতেমা নজীব, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ও ফারজানা রহমানকে।

আরও পড়ুনযৌন হয়রানি প্রতিরোধে সুপ্রিম কোর্টে ৫ সদস্যের কমিটি

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী।

আরও পড়ুনযৌন হয়রানি রোধে দেশের সব আদালতে কমিটি গঠনের নির্দেশ

শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে রায় দেন তৎকালীন বিচারপতি (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি) সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন’সহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুনহাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি গঠনে রুল

২০০৯ সালের হাইকোর্টের রায়ের আলোকে ২০২১ সালের শেষের দিকে প্রথমবারের মতো এ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সেসময় কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথকে। পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া এ বিচারক গত বছরের সেপ্টেম্বরে অবসরে যান।