চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অবকাশপূর্ব প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল ৩ ঘটিকায় সমিতির অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম. বজলুর রশিদ।
প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আজিজ আহমদ ভূঞা।
এছাড়াও মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এ.এস.এম. বদরুল আনোয়ার, চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলাম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইমরান। উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী, সহসভাপতি আবদুল হক, ক্রীড়া সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অলি আহমদ, নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন, জামশেদ আলম, মো. ইকবাল হোসাইন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মনজুর আলম, সাজেদা বেগম (সাজু), ইসরাত জাহান মুকুল, মিনহাজ উদ্দিন, রানা মিত্র, আবিদা সুলতানা (শারমিন), ফারজানা হাকিম চৌধুরী, সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণসম্পাদকবৃন্দ সহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী।
প্রীতি সমাবেশের ২য় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম বেলালের সঞ্চালনায় ও পরিচালনায় গান পরিবেশন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, অবকাশপূর্ব প্রীতি সমাবেশ বিচারক এবং আইনজীবীদের মধ্যে সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। বিজ্ঞ আইনজীবী এবং বিজ্ঞ বিচারক উভয়েই ন্যায় বিচারের কার্যক্রমের দিকে কর্মশক্তি সমৃদ্ধ করতে পারে অবকাশের মাধ্যমে। অবকাশ মেধা, স্মৃতি ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটায়।
অবকাশকালীন সময়ে বিজ্ঞ বিচারক এবং আইনজীবীদের রোগমুক্তি সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন বৎসরে পুনরায় সুন্দরভাবে মিলিত হওয়ার প্রত্যাশা করে সৃষ্টিকর্তার নিকট সকলে দোয়া করেন। অবকাশকালীন প্রীতি সমাবেশ আইনজীবীদের কর্মদক্ষতা এবং সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি করবে। আইনজীবীরা একমাস পারষ্পরিক সর্ম্পক উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গায় থেকে সর্ম্পকের উন্নয়ন ঘটাবে বলেও সভায় বক্তারা মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, অবকাশের কারণে ডিসেম্বর মাসে বন্ধ থাকবে চট্টগ্রামের আদালত। তবে বিচারিক হাকিম এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালসহ কয়েকটি আদালতের কার্যক্রম চালু থাকবে।