কক্সবাজার-৪ আসনের জাপা প্রার্থী ভূট্টোকে শোকজ

কক্সবাজার-৪ আসনের জাপা প্রার্থী ভূট্টোকে শোকজ

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় সংসদীয় আসন ২৯৭, কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টোকে শোকজ করা হয়েছে।

একই সংসদীয় আসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্য শুক্রবার ১ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর এই নোটিশ (শোকজ) প্রদান করেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হিসাব সহকারী ও নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সহায়ক স্টাফ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজার-৪ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টোকে প্রদত্ত শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর দুপুর ১টার সময় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনের সড়কে জীপ গাড়িসহ ১০ থেকে ১২টি নোয়াহ মাইক্রোবাস গাড়ি নিয়ে শোডাউন করে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এজন্য, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনের রাস্তায় এসময় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

এছাড়া, গাড়ী বহরে একটি নোয়াহ গাড়ীতে প্রার্থীর নাম ও ছবি সম্বলিত “লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিন” পোষ্টার লাগানো ছিল। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নির্বাচনি প্রচারের পোষ্টার সম্বলিত গাড়ি নিয়ে মটর শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার ৮(ক) ও (খ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে।

এ অবস্থায় কক্সবাজার-৪ আসনে আচরণ বিধি লংগনের বিষয়ে নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টোর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না, এ মর্মে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান তথা কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্য এর কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বা উপযুক্ত কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য দিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১৯-এ (৫) (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কক্সবাজার-৪ আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মৈত্রী ভট্টাচার্য্য গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) একই আসনের উখিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন ও সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পাশাপাশি নির্বাচনে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে কমিশনের কঠোর অবস্থানের কথা জানান। এজন্য রাজনৈতিক দলসমূহ ছাড়াও ভোটারসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন বিজ্ঞ বিচারক মৈত্রী ভট্টাচার্য্য।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। সে হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না।

এছাড়া, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা অনুসারে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের মনোনীত প্রার্থী বা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল বের করতে পারবেন না। মহড়াও করতে পারবেন না।